ধর্ষণের পর হত্যা করে নানা নানিকে কুপিয়ে জখম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা আরজু আক্তার (২০) নামে এক তরুণীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা করে পালিয়ে গেছে নিকটাত্মীয় যুবক। এ সময় ওই তরুণীর বৃদ্ধ নানা-নানীকেও গলা কেটে জখম করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর তরুণীকে তার ‘খালাতো মামা’ হত্যা করেছে। আর এ ঘটনা দেখে ফেলায় আরও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গভীর রাতে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

nagad
nagad

নিহত আরজু ওই উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা। তার নানা আব্দুল হাকিম (৭০) ও নানী ফরিদা আক্তার (৬০)। তারা দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের বাড়ি চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায়।

এদিকে, ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া যুবক নাজিম উদ্দিন (৩০) সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে।

KSRM
KSRM

আব্দুল হাকিমের বরাত দিয়ে তার প্রতিবেশি স্থানীয় মো. মনজুরুল আলম জানান, আব্দুল হাকিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন ছেলে বিদেশে থাকেন। ঘটনার সময় পাকা ঘরের দ্বিতীয় তলায় তিন ছেলের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। আর নিচতলায় আব্দুল হাকিম, ফরিদা, আরজু ও নাজিম। এর মধ্যে আরজু ঈদুল ফিতরের সময় নানার বাড়িতে বেড়াতে যান। আর মঙ্গলবার রাতে নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে যান।

নিহত আরজুর পিতা আনোয়ার হোসেন ঘাতক নাজিমের ‘সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের’ দাবি জানিয়েছেন।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘নাজিম নিহত আরজুর মায়ের খালাতো ভাই। আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি মঙ্গলবার রাতে আরজুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নাজিম। তাকে বাঁচাতে এলে নানীকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। নানীর চিৎকারে নানা এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে নাজিম। এরপর নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।’

কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিহত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে— এটা স্পষ্ট। কী হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বোঝা যাবে। তরুণীকে মুখের ভেতর ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে মৃত অবস্থায় আমরা পেয়েছি।’

‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় রেখেছে। সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি নুরুজ্জামান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক