চট্রলার কন্ঠ ডেস্ক।
জম্মু ও কাশ্মির প্রদেশের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ চালাতে পারে ভারত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এমন অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত একটি হামলার জবাবে সম্পূর্ণ পরিচালনাগত স্বাধীনতা দিয়েছেন। যার মাধ্যমে বাহিনী যেকোনো স্থানে হামলা সংঘটিত করতে পারবে।’
nagad
nagad
এর আগে মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীকে পর্যাপ্ত স্বাধীনতা দিয়েছেন মোদি যাতে তারা উপযুক্ত সময় ও লক্ষ্য নির্ধারণ করে জবাব দিতে পারে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসাবাদের শিকার এবং এই অভিশাপের যন্ত্রণা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে সক্ষম। আমারা বিশ্বের যে কোনো স্থানে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে এবং সব সময়ই এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘ইসলামাবাদ নিরপেক্ষ তদন্তে প্রস্তুত কিন্তু ভারত নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য তদন্ত এড়িয়ে যেতে চায়। দেশটির সত্যিকারের উদ্দেশ্য কী— তা বোঝার জন্য এটি এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।’
ভারত যদি সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে পাকিস্তান তার ‘সমুচিত’ জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আতাউল্লাহ।
গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের গুলিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে এটি সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা শুধুমাত্র কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়।