নিরব হয়ে গেল চট্টগ্রাম নগরী

স্বজনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে টানা ৯ দিনের ছুটিতে চট্টগ্রাম নগর ছেড়েছেন লাখো মানুষ। এতে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে অধিকাংশ এলাকা। যানবাহনের চাপ নেই প্রধান সড়কে। অলিগলিতেও গাড়ির চলাচল অনেকটাই কম। ঝামেলা ছাড়াই লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে যেতে পারছেন। এ যেন এক অচেনা, অন্যরকম নগর। তবে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস এবং অটোরিকশায় বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে গাড়ি চালক ও সহকারীদের তর্ক-বিতর্কও হচ্ছে বিভিন্ন যাত্রীদের সঙ্গে।

রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে নগরের জিইসি, ওয়াসা, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, নিমতলা, অলংকার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

nagad
nagad

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ব্যস্ততম মোড় আগ্রাবাদে সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তায় তেমন গাড়ির চাপ নেই। মূল সড়ক রিকশা ও মোটরসাইকেলের দখলে। গাড়ির চাপ না থাকায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা পুলিশ বক্সের মধ্যে থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। সড়কে যাত্রীবাহী বাসের পরিমাণও তুলনামূলক কম।

তবে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন—এখন থেকেই জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

KSRM
KSRM

নগরের অলংকার এবং একে খান মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করতে বাড়তি ভাড়া দিয়েই তারা যাচ্ছেন গন্তব্যে। তবে কাউন্টারগুলোতে তেমন একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।

ফাঁকা শহরের নিরাপত্তায় পুলিশ-র‍্যাব

অন্যদিকে, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা শহরে অপরাধী চক্রও নেমেছে পথে-ঘাটে। ফলে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোন অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে নগর পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে র‍্যাবও।

সিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নগরবাসীর নিরাপত্তায় ঈদের ছুটিতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে থাকবে চেকপোস্ট। সেখানে সন্দেহজনকদের তল্লাশি করা হবে। পাশাপাশি পুলিশের টহল টিমও নগরজুড়ে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া নগরের নিরাপত্তায় সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক