Cvoice24.com
প্রচ্ছদচট্টগ্রাম
বাঁশখালীতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম
বাঁশখালী প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
প্রকাশিত: ১০:৪২, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
বাঁশখালীতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কালীপুরে শারমিন আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী মো. নুরুল আবচারের বিরুদ্ধে। দাবি করা যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে না দেওয়ায় বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে কুপিয়ে জখম করার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. নুরুল আবচারের সঙ্গে একই উপজেলার বৈলছড়ী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার পাড়া এলাকার মোহাম্মদ পেয়ারুর মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান (শাহারিয়ার মোহাম্মদ আবরার) জন্মগ্রহণ করে। বর্তমানে তার বয়স আট বছর। বিগত কয়েক বছর তারা সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করলেও পরবর্তীতে শারমিনকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী মো. নুরুল আবচার। বিয়ে ও বিয়ের পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে নগদ ১ লাখ টাকা ও ফার্নিচার সহ তিন ভরি সোনার গয়না যৌতুক হিসেবে নুরুল আবচারকে দেয় শারমিন আক্তারের বাবা।
nagad
nagad
পরবর্তীতে কয়েক মাস পূর্বে তাকে পুনরায় যৌতুকের দাবিতে শারমিন আক্তারকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিলে শারমিন বাদী হয়ে চলতি বছরের ২৯ জুলাই বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর (১১২৩) মামলা দায়ের করেন। মামলায় আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ভবিষ্যতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতন করবে না মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়ে মুক্তিলাভ করে নুরুল আবচার। এরপর কিছুদিন নিরব থাকলেও পরবর্তীতে আবারও ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে শারমিনকে নির্যাতন শুরু করে। সবশেষ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবারও টাকা এনে দিতে বলে স্ত্রী শারমিনকে। শারমিন টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী নুরুল আবচার তাকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এ সময় ছেলে আবরার মোবাইল ফোনে নানার বাড়িতে খবর দিলে তারা এসে রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় শারমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার শারমিন আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ৫০ হাজার যৌতুক দাবি করে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে স্থানীয় ও আমার পরিবারের লোকজন এসে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে আমার মাথায় ৮ টি সেলাই দেওয়া হয়।’
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ বলেন, ‘মাথার মাঝখানে কোপ দেওয়া হয়েছে। ৮টি সেলাই পড়েছে। প্রসূতি একজন মাকে এভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে যা চিন্তা করাও যায় না।
এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।