মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতা খুন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতা কবির আহম্মদ সওদাগর (৬৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৮) ও বারইয়ারহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড গাছ মার্কেট এলাকার মৃত খুরশীদ আলমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (৪৫)।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার বারইয়ারহাট গাছ মার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কুপিয়ে খুন করা হয় বিএনপি নেতা কবির আহম্মদকে (৬৫)। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন কবির আহম্মদের দুই ছেলেসহ দোকানের আরও কয়েকজন কর্মচারী। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত কবির আহম্মদ উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের গণকছড়া গ্রামের মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে। এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, ‘বিএনপির প্রবীণ নেতা কবির আহম্মদের মার্কেটের একটি দোকানে কয়েকমাস আগে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু শালিসি বৈঠক করেন। এ ঘটনায় কবির আহম্মদ ও জিয়া উদ্দিন বাবলুর সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭-৮ জনের একটি স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কবির আহম্মদের দোকানে এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। হামলায় অংশ নেওয়া গ্রুপটি জিয়া উদ্দিন বাবলুর সাথে জড়িত। এ সময় ঘটনাস্থলে কবির আহম্মদের মৃত্যু হয়। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় দুই ছেলে দিদারুল আলম ও জামশেদ আলম সহ দোকানের কয়েকজন কর্মচারী। তিনি কবির আহম্মদের খুনীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।’

এ বিষয়ে জানতে জিয়া উদ্দিন বাবুলর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক এরশাদ উল্ল্যাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কবির আহম্মদ নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের একাধিক স্থানে কোপানোর জখম রয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরো ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে (অজ্ঞাত) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে বিএনপি নেতা কবির আহম্মদ খুনের ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে জোরারগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার ছেলে দিদারুল আলম।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে কবির আহম্মদ খুনের ঘটনায় তার ছেলে বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক