ইমরান নাজির
চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ফটক বন্ধ করে ৪ ঘণ্টার মতো বিক্ষোভ করে তারা। এসময় কর্মকর্তারা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এসময় সেনাবাহিনীকেও বোর্ডের বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়। কিন্তু বোর্ডের মূল ফটকে তালা থাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
পরবর্তীতে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা শেষে পরীক্ষা বাতিলের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার। কিন্তু এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিকেল পর্যন্ত বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। শেষে বিকেল ৫টার পরে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের আশ্বাসে বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন তারা।
এ ব্যাপারে ফোন আলাপে জানতে চাইলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের কন্ঠকে বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা স্থগিত থাকা পরীক্ষা বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছে। তাদেরকে আমরা আশ্বাস দিয়েছি। ঢাকায়ও এটা নিয়ে আলোচনা চলছিল। ওদেরকে (শিক্ষার্থীদের) সময়ে সময়ে সেটা জানাচ্ছিলাম।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এ বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, ‘অবরুদ্ধ ছিলাম তা বলা যায় না, ছাত্রদের সাথে ছিলাম। যেহেতু ওরা একটা আন্দোলন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তাই ওরা একটা জবাব পেতে চায়। তাই বোর্ডের সামনেই ছিল। আমরা আমাদের নিরাপত্তার খাতিরে যেহেতু বোর্ডে খাতাপত্র আছে। আমরা গেইটে ছিলাম। আমাদের আনসাররাই তালাটা দিয়েছে। ওদের সাথে সারাক্ষণই আমাদের কথা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বললো। পরবর্তীতে ওরা আশ্বস্ত হয়ে চলে গেলো।’
এদিকে, এইচএসসির বাকি থাকা পরীক্ষা বাতিলে পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে দীর্ঘ সময় অফিস শেষ করে বাসায় ফিরতে না পারায় বোর্ডের কর্মরত পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন নারীরাও।