ইমরান নাজির।
নগরীর চকবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের বিছানায় আজ মঙ্গলবার চারটায় রিপোর্ট লেখা আগ পর্যন্ত এখনো কাতরাচ্ছেন ৫৩ জন।
তাদের কারো মাথা কিংবা শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত, গুলি, আবার কারো শরীরে বেধড়ক পেটানোর ক্ষত, কেউবা শরীরের নানান জায়গায় ছররা গুলির ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে বিক্ষোভকারী, ছাত্রলীগ–যুবলীগ ও পুলিশের মধ্যে চতুর্মুখী সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন ৫৩ জন। যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে চারজনকে, একজন ভেন্টিলেশনে আছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যা ১৮৩ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুর চারটায় বিষয়টি চট্টলার কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।
আইসিইউতে থাকা তিনজন হলেন, ২৩ বছর বয়সী শাহেদ, ১৯ বছর বয়সী মো. হাসান এবং ২৭ বছর বয়সী মিনহাজ রনি এবং আদনান শরীফ। এর মধ্যে শাহেদ, হাসান এবং মিনহাজ রনিসহ তিনজনই গানশ্যুট ইনজুরির শিকার এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এবং ভেন্টিলেশনে থাকা ওই যুবকের নাম মো. হাসান।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত বাকিদের মধ্যে ২০ নম্বর চক্ষু ওয়ার্ডে ২ জন, ২ নম্বর ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ২৪ জন, ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ৮ জন, ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ৮ জন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন, ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন, এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন ভর্তি রয়েছেন। এসব ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সকলে আশংকামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চমেক পরিচালক।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন চার(৪) আগস্ট রবিবারের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে ৫৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং একজনকে ইতিমধ্যেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। আর বাকিরা শঙ্কামুক্ত আছেন।’