ইমরান নাজির।
তিনবার আবেদন করেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো কলেজ পায়নি চট্টগ্রামের ৪৫৬ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে কিনা সেই তথ্য জানা যায়নি। কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীকে এখন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভর্তি আবেদনের তৃতীয় ও শেষ ধাপ পর্যন্ত মোট আবেদনকারীর ১ লাখ ৩ হাজার ১৫৮ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৭০২ জন কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বাকি ৪৫৬ জন কলেজ পাননি।
এদিকে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী। আর চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি ২৮৫টি কলেজের মোট আসন সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার। সেই হিসাবে ভর্তিচ্ছু সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও প্রায় ৪৬ হাজার আসন ফাঁকা থাকবে।
চট্টগ্রামের কন্ঠকে ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী কলেজ না পাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক বলেন, ‘এখানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আবেদনে দশটি কলেজ না দিয়ে ভালো ভালো ৫ থেকে ৬টি কলেজ পছন্দক্রম হিসেবে দেয়। তখন দেখা যায় তাদের নম্বরের তুলনায় ওই কলেজগুলোতে প্রতিযোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে তারা তাদের পছন্দের কলেজে সুযোগ পায় না। আমাদের কলেজগুলোতে কিন্তু পর্যাপ্ত আসন খালি আছে।’
কলেজের চান্স বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কী হবে জানতে চাইলে কলেজ পরিদর্শক চট্টগ্রামের কন্ঠকে বলেন, ‘সব বোর্ডে প্রায় ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখনো ভর্তির বাইরে আছে। ফলে তাদের বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। আমরা চাই সকল শিক্ষার্থী যেন ভর্তির সুযোগ পায়। এখন আমরা আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। সে পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে কলেজে ভর্তি হতে হবে। পরবর্তী সময়ে ৩০ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।