একাদশের ভর্তির আবেদন আজ থেকে

ফাহিম শাহবাজ।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া রবিবার (২৬ মে) থেকে শুরু হবে। প্রথম দফায় ১১ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন। এছাড়া এবার বেড়েছে আসন সংখ্যাও। গতবারের চেয়ে চট্টগ্রাম নগরের ৮টি সরকারি কলেজের আসন সংখ্যা বেড়েছে ১৯০টি। মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ১০০টি। গতবার ছিল ৯ হাজার ৯১০টি।

যেসব কলেজে বেড়েছে আসন
নগরের ৮ সরকারি কলেজের মধ্যে সরকারি কমার্স কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য কোনো আসন বরাদ্দ নেই। একইসাথে চট্টগ্রাম কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য আসন বরাদ্দ নেই এবং কলেজিয়েট স্কুলে মানবিক বিভাগের জন্য কোনো আসন বরাদ্দ নেই। সেই হিসেবে এবার নগরের সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগে আসন বেড়েছে মাত্র ১০টি, মানবিক বিভাগে ৭০টি, এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বেড়েছে ১১০টি আসন।

তথ্যমতে, সরকারি কমার্স কলেজে কেবল ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন রয়েছে। সরকারি এই কলেজে এবার আসন বেড়েছে ৭০টি। একইসাথে বাকলিয়া সরকারি কলেজ এবং কলেজিয়েট স্কুলে বেড়েছে মাত্র ১০টি করে ২০টি আসন। সবচেয়ে বেশি আসন বেড়েছে চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের। এ প্রতিষ্ঠানে গতবারের চেয়ে আসন বেড়েছে ১১০টি। তবে গতবারের চেয়ে বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ১০টি আসন কমেছে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে।

কোন কলেজে কত আসন
সরকারি আট কলেজের মোট আসনের মধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন রয়েছে ২ হাজার ৭৪০টি, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩ হাজার ৭৭০টি, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৯০টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম কলেজে মোট আসন আছে ১ হাজার ৪০টি, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে মোট আসন আছে ১ হাজার ৭২৫টি। সরকারি সিটি কলেজে মোট আসন আছে ২ হাজার ১৮০টি। সরকারি কমার্স কলেজে আসন আছে ৯৭০টি। সরকারি এই কলেজটিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ ছাড়া অন্য দুই বিভাগ নেই। এছাড়াও চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে আসন আছে ১ হাজার ৪০০টি, বাকলিয়া সরকারি কলেজে আসন আছে ১ হাজার ৪৩৫টি, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে আসন আছে ১ হাজার ৫০টি এবং কলেজিয়েট স্কুলে মোট আসন আছে ৩০০টি।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারও অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এ পর্যায়ের ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুলাই। পরবর্তীতে ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন শেষে ১২ জুলাই ফল প্রকাশ হবে। ফল প্রকাশের পর ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে চলবে ভর্তি কার্যক্রম। আগামী ৩০ জুলাই থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস।

তবে একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে যেহেতু সুযোগ থাকছে তাই সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক।

এদিকে, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শুধু জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৮২৩ জন। তবে মোট জিপিএ ৫ এর মধ্যে ৯ হাজার ৫৮৯ জনই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৯৭ জন এবং মানবিক বিভাগে ১৩৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। অর্থাৎ নগরের সরকারি কলেজগুলোতে বরাদ্দকৃত আসনের তুলনায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের আসনের চেয়ে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই গুণ বেশি। সে হিসেবে জিপিএ ৫ পেয়েও সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির বাইরে থাকবে ৫ হাজার ৯৯৯ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ভালো ফলাফল করেও সরকারি আট কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক