চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের বলেছেন, ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। মুখের ভাষায় কথা বলা একটি জন্মগত অধিকার। আর ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের চুড়ান্ত লড়াই-সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় এই লড়াইয়ে বাঙালি জিতলেও বিগত ৬৮ বছর পরও সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষার প্রচলন হয়নি। এটা আমাদের জাতিগত হীনমন্যতা ও বিকৃত মানসিকতার একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনষ্টিটিউটে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন
আ জ ম নাছির আরও বলেন, যে সকল দেশ উন্নত ও অগ্রসর সেদেশের মানুষ রাষ্ট্র সমাজ নিজেদের মাতৃভাষা এবং দেশীয় রীতিনীতি ও আইনকানুনকে মর্যাদা দেয় ও মেনে চলে। একারণে তারা পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে। তাই এই কারণে আমাদেরকেও আত্মমর্যাদাশীল হতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৫২’এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক চেতনার বীজ রোপিত হয় তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লড়াই- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস এবং মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীন অস্তিত্ব রক্ষার ঠিকানা।
তিনি আরও বলেন, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক ও অবৈজ্ঞানিক ধারণায় প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান কায়েম হবার পরপরই বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী হিংস্র থাবা দেয়।
তখনই বঙ্গবন্ধু বুঝে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোয় কখনো দেশের সংখ্যাঘরিষ্ঠ মানুষ বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তখন থেকেই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নজাল রচনা করতে থাকেন এবং বহু প্রতিকূলতার মধ্যে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে যে স্বাধীনতা তিনি এনে দেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। মুখের ভাষায় কথা বলা একটি জন্মগত অধিকার। আর ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের চুড়ান্ত লড়াই-সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় এই লড়াইয়ে বাঙালি জিতলেও বিগত ৬৮ বছর পরও সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষার প্রচলন হয়নি। এটা আমাদের জাতিগত হীনমন্যতা ও বিকৃত মানসিকতার একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ কে এম বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কার্য নির্বাহী সদস্য মোহাব্বত আলী খান, থানা আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন তপন, আব্দুল মালেক, ফারুক আহমেদ, দিদারুল আলম মাসুম, লায়ন আশিষ কুমার ভট্টাচার্য্য, ইলিয়াস সরকার প্রমুখ।