মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ে মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশীসহ দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অবস্থিত।
নিহত একজন স্থানীয় বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫৫)। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত আরেকজন রোহিঙ্গা পুরুষের নাম জানা যায়নি। তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। তার আনুমানিক বয়স ৬৫ বছর।
nagad
nagad
মৃত্যুর বিষয়টি সিভয়েস-২৪কে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।
তিনি বলেন, বেলা পৌনে তিনটার দিকে রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য রান্নাঘরে যান হোসনে আরা। তখন মর্টারশেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। এতে এক রোহিঙ্গা পুরুষসহ দুইজনের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। আশপাশের এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে আরকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ জন। সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বিজিপি’র সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক। তারা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে সোমবার ভোর পর্যন্ত নতুন করে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৭ জনের কতজন আহত তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।