বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৯ জন সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পালিয়ে এসেছেন।
রবিবার সকালে তমব্রু কোনারপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি সদস্যরা ভয়ে আশ্রয় চাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের স্থানীয়রা নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এদিকে তমব্রু সীমান্ত এলাকার স্থানীয়দের ধারণ করা আরেকটি ভিডিও চিত্রে আরাকান আর্মির কয়েকজন সদস্যকেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকতে দেখা গেছে।
অপরদিকে রোববার ভোররাত থেকে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলা তুমুল সংঘর্ষে সেখান থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহত বাংলাদেশি হলেন তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা প্রবীন্দ্র ধর প্রকাশ আম্বু।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা স্থানীয়রা এলাকা ছেড়ে চলে আসছেন নিরাপদ স্থানে। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। গতরাতে তুমুল গুলিবর্ষণ ও মর্টারশেলের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায়।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তমব্রু সীমান্ত এলাকা লাগোয়া জান্তা বাহিনীর ক্যাম্প দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যে কয়েকজন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের উদ্ধার করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বিওপিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’