মহিবুল হাসান।
ঈদের ছুটির পর চৈত্র সংক্রান্তির পাঁচনকে ঘিরে হরেক রকমের সবজিতে ভরপুর বাজার। তবে হাতে গোনা কিছু সবজির দাম কমলেও বেশির ভাগই বাড়তির দিকে। গেল রমজানজুড়ে নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও ঈদের পর বদলে গেছে সেই চিত্র। ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রায় সবজি। এগুলোর মধ্যে আবার ঝিঙে, সজনে ও কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে।
চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো ১৫-২০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকায়, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকায়, কাঁচা কলা ২৫-৩০ টাকা হালি, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, লেবু ২৫-৩০ টাকা হালি, ধনেপাতা ও মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায়। বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬৫ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ৯০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫-৮০ টাকা ও পটল ৫০-৭০ টাকায়। এছাড়া লালশাক, কলমি শাক, পুইশাক কিংবা পালং শাক এক আঁটি ১০-২০ টাকায়।
মাছ-মাংসের বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজি প্রতি গরুর মাংস ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা।
সবজির দাম নিয়ে অলংকার বাজারে দোকানি সেলিম বলেন, ‘উত্তরে বৃষ্টি থাকায় সরবরাহ বেশ কিছুটা কম। এছাড়া শীতকালীন সবজি এখন নাই বললেই চলে। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে অন্য সময়ের তুলনায় বাজার দর অনেকটা কম আছে।’
ক্রেতা ফয়সাল বলেন, ‘শীতের মৌসুম শেষ হওয়ায় সবজির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। সবজি বাড়তি দরে কিনছি। এক সপ্তাহের তুলনায় পরের সপ্তাহ কিছুটা বাড়ে, আবার কিছুটা কমে। কিন্তু সবজির দাম প্রতি সপ্তাহে কিছুটা বাড়তে বাড়তে কত টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা দেখতে হবে। এছাড়া সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে বাড়তি দরে। এগুলো সরকারকে দেখতে হবে। নতুবা রমজানের বাজারে সরকার যে সুনাম অর্জন করেছে, তা কয়েক সপ্তাহে মানুষ ভুলে যাবে।’
সরেজমিনে গেলে চট্টলার কন্ঠকে কর্নেলহাট বাজারের মুদি দোকানি শিবু বলেন, ‘এখন যা আছে তা পাঁচ-দশ টাকা বাড়তিতেই বিক্রি করতে হচ্ছে। সাপ্লাই নাই। কয়েকদিন পর তেল পাবো কিনা সন্দেহ আছে। এজন্য প্রশাসনের কাজ করতে হবে। আমাদের মতো দোকানদারদের অভিযানের জালে না ফেলে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাপ্লাই চেইন দেখা জরুরি বলে মনে করি।’