এই মিঠু সেই মিঠু নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক।

চট্টগ্রামের র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ‘মিঠু’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অস্ত্রধারী ‘মিঠু’ নন। নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করা হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ বলছে, ‘এই মিঠু সেই মিঠু নয়’। তাঁর পুরো নাম কাজী জাহিদুল আলম ওরফে মিঠু। তিনি পেশায় একজন গাছ ব্যবসায়ী। তবে তিনি অন্য একটি মামলার আসামি।

সোমবার (৭ অক্টোবর) আন্দোলনের সময় অস্ত্রধারী যুবলীগকর্মী এইচ এম মিঠু হিসেবে তাঁকে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। গণমাধ্যমেও বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় আন্দোলনের সময় অস্ত্রধারী মিঠু হিসেবে।

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়াকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি এইচ এম মিঠু নামের এক যুবলীগকর্মী।

চট্টলার কন্ঠকে এ প্রসঙ্গে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতার উদ্দিন বলেন, ‘র‌্যাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হত্যা মামলায় যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে; তিনি ওই মামলার আসামি নন। এরপরও তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘এই মিঠু ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি না হলেও অন্য একটি মামলার আসামি।’

এদিকে, রবিবার (৬ অক্টোবর) র‌্যাব থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছিল, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হত্যা মামলার আসামি ও কিশোর গ্যাং নেতা এইচ এম মিঠুকে র‍্যাব আটক করেছে। গত ১৮ জুলাই চান্দগাঁওয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল। শান্তিপূর্ণ ওই কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় তরুয়া (২১) অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় এইচ.এম. মিঠু এবং অন্যান্য আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। হৃদয় তরুয়ার শরীরে গুলি লাগে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বন্ধু মো. আজিজুল হক গত ২০ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও থানায় যুবলীগকর্মী মিঠুসহ ২০৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক