ইপিজেডে ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন, এক যুবক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে রিকশা থামিয়ে এক তরুণকে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ মে) রাত ৮টার দিকে সিভয়েস২৪-কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান নামে এক পোশাকশ্রমিককে হত্যার ঘটনায় আমরা সাদিক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছে না।’

রিকশা থেকে নামিয়ে ছুরি দিয়ে তরুণ হত্যা
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৮টা ৪৭ মিনিটের দিকে আকমল আলী পকেট গেটমুখী মেসার্স আশা মনি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিকশা থামিয়ে গ্রেপ্তার সাদিকের নেতৃত্বে রিফাত ও মেহেদী হাসানের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।

ওইসময় মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া এ ঘটনায় গুরুতর আহত রিফাত এখনও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মেহেদী হাসান, সাদিক এবং রিফাত একই পোশাক কারখানায় চাকরি করে। রমজান নামে একই কারখানার আরেক পোশাক শ্রমিকের সাথে গ্রেপ্তার সাদিকের টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা ছিলো। আর সেটি মীমাংসা করে দেয় রিফাত। কিন্তু সাদিক সেটি মেনে না নিয়ে উল্টো রিফাতকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়।

তারই জের ধরে সাদিক স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারতে যায় রিফাতকে। কিন্তু রিফাতকে মারধরের পর গ্যাং সদস্যরা মেহেদী হাসানকেও ছুরিকাঘাত করে।

নিহত মেহেদী হাসান ভোলার লালমোহন থানার গোরিন্দা বাজার এলাকার বাসিন্দা। আহত রিফাত ইপিজেড থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সাইডপাড়ার মালুর বাড়ির মো. মিন্টুর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত। আরেকটি নিয়ন্ত্রণ করেন বন্দরটিলার নয়ারহাট এলাকার ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী নাঈমুল ইসলাম শুভ। ইয়াছিন আরাফাত স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের অনুসারী এবং শুভ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয়দের মতে, নিহত মেহেদী হাসান এবং আহত রিফাত ইয়াছিন আরাফাতের অধীনে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল এবং হামলাকারীরা শুভ গ্রুপের সদস্য।

তবে, নিহত মেহেদী হাসান সাধারণ পথচারী উল্লেখ করে নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিভয়েস২৪-কে বলেছিলেন, ‘নিহত মেহেদী হাসান সাধারণ একজন পথচারী। ঘটনার কোনো কিছুই তিনি জানতেন না। রিফাতকে করা ছুরির আঘাত গিয়ে লাগে মেহেদীর বুকে। এতে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক