কেএনএফের সব ঘাঁটি সেনাবাহিনীর দখলে

বাংলাদেশের জনগণের জন্য, শান্তির জন্য যা করণীয় তা-ই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সব ঘাঁটি সেনাবাহিনীর দখলে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বান্দরবান সদর সেনা জো‌নের মা‌ঠে এক মত‌বি‌নিময় সভায় সাংবা‌দিক‌দের এসব কথা ব‌লেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় বান্দরবান সেনা কর্মকর্তারা উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

nagad

nagad

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ব‌লেন, ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) যখন তা‌দের সব কিছু জা‌হির ক‌রে ফে‌লে‌ছে, তখন তারা সন্ত্রাসী বা‌হিনী‌তে প‌রিণত হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের বি‌রু‌দ্ধে আমরা যৌথ অপা‌রেশন শুরু ক‌রে‌ছি।’

তিনি ব‌লেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের জনগণের জন্য, শান্তির জন্য যা করণীয় তা করতে হবে এবং আমরা তাই করে যাচ্ছি। সেনাবা‌হিনী তার দা‌য়িত্ব পালন করবে। বি‌শেষ ক‌রে যৌথ অভিযা‌নে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি পেশাদা‌রি‌ত্বের সাঙ্গে পালন কর‌ব। ইতোমধ্যে প‌রিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হ‌য়ে গে‌ছে।’

সেনাপ্রধান ব‌লেন, ‘ইতোম‌ধ্যে অভিযান চা‌লি‌য়ে ২‌টি অস্ত্র উদ্ধার কর‌তে সক্ষম হ‌য়ে‌ছি। ত‌বে অস্ত্রগু‌লো লু‌টে নেওয়া অস্ত্র কি না তা জান‌তে পা‌রি‌নি। কেএনএফ বাংলাদেশের ভিতরে কর্মকাণ্ড পরিচালনায় যেসব ঘাঁটি তৈরি করেছিল সবকটি আমরা দখলে নিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফের শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রসীরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসে রুমা ইউএনও অফিসের কাছের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। পরে তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। পরের দিন বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়।

রুমার ঘটনার পরপর যৌথ অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক