আজ সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র লাইলাতুল বরাত (শবে বরাত)। দিনটি মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়। তাইতো সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মাজারে ভিড় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কেউ এসেছেন সমবয়সীদের সাথে, কেউ বা নিজের বাবার সাথে। মসজিদে চলছে মিলাদ মাহফিল, দরুদ, জিকির ও কিয়াম। নামাজ শেষে অনেকেই যাচ্ছিলেন মুরুব্বি, প্রিয়জন ও অলি-আউলিয়াদের কবর জেয়ারতে।
শবে বরাতের নামাজ শেষে অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করে আল্লাহর কাছে হাত পাতবেন মুসল্লিরা।
রবিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে নগরের দামপাড়া ওয়াসা মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে নামাজ পড়তে দলে দলে মুসল্লিরা প্রবেশ করতে থাকেন। এশার জামাতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ।
হালুয়া-রুটির ঐতিহ্যে ভাটা, গোশত-পরটায় জোয়ার!
শুধু জমিয়তুল ফালাহ্ নয়, এমন চিত্র দেখা গেছে নগরের অন্যান্য মসজিদেও। দেখা গেছে, বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে মসজিদ। কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। বাইরে বসেছে আতর-টুপির পসরা।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা লালখান বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘পবিত্র শবে বরাতের এই দিনে আমি রোজা রেখেছি। স্থানীয় মসজিদে নামাজও আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ্। আজ সারারাত ইবাদত করবো, ইনশাআল্লাহ্।’
কাজির দেউড়ি থেকে আসা তানজিদ হোসেন বলেন, ‘আজ পবিত্র শবে বরাত। প্রতিবছরই আমি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসি। আজও এসেছি। সারা রাত ইবাদত করব, ইনশাআল্লাহ্।