ইমরান নাজির।
রাউজানের পর এবার পাহাড়তলীতে এবার Rab 7 এর হাতে ধরা পড়েছে এক ভুয়া সাংবাদিক। কখনও তিনি সাংবাদিক, কখনও সরকারি কর্মকর্তা, কখনোবা হয়ে যেতেন ম্যাজিস্ট্রেট। সময় সময়ে এসব পরিচয় দিলেও মূলত তিনি একজন বাটপার ও প্রতারক বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে এবার এসএম মিজান উল্লাহ সমরকন্দিকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নগরীর কর্ণেলহাট এলাকায় বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ওষুধালয় নামে একটি দোকানে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় সৈয়দ মিজান উল্লাহ (৩৫) ও ফারদিন আহমেদ (২৪) নামের দুজনকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। তারপর গ্রেপ্তার করে আকবর শাহ থানার পুলিশ। মিজানের বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, সাতকানিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও দস্যুতা মামলা রয়েছে পাঁচটি।
র্যাব-৭ জানায়, ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা,কখনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। এছাড়া দস্যুতা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিও তিনি। পরে তিনি পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থান করছে জানতে পেরে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে ওই এনজিওর নামে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত শাখা অফিসে নিয়োগ পাওয়া ২৬ জন কর্মকর্তার জামানতের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার ও সহযোগী মিজান। তার নামে বিভিন্ন থানায় অনেক জিডির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে
তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকও। ‘স্বীকৃতি’ নামে একটি এনজিওর নাম দিয়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয় একটি আঞ্চলিক দৈনিকে। এসব বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সহজ সরল মানুষ তার সাথে লেনদেন করেছেন।