চট্টগ্রামে ফ্যাকটর্ সাড়ে সাত লাখ নতুন ভোটার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে এবার ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ জন তরুণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে বর্তমানে চট্টগ্রামে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ জন। যারা আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রামের অনেক আসনে প্রার্থীদের (আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র এবং জাতীয় পার্টি) জয় পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখবেন। প্রতি আসনে তরুণ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজারের মতো। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬০ জন তরুণ ভোটার। তাই পুরনো ভোটারদের চেয়ে তাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা একটু বেশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছেন তরুণ ভোটাররা। নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ভোটের হিসাবনিকাশ। ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে মূল প্রভাব ফেলবেন তরুণ ভোটাররা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ১৮ থেকে ৩৩ বছরের এসব তরুণ ভোটারের সমর্থনেই ঠিক হবে প্রার্থীদের (আওয়ামী লীগ নাকি স্বতন্ত্র নাকি জাতীয় পার্টি) জয় পরাজয়। তাই তরুণ ভোটারের চিন্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন ভাবনা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। সেভাবেই তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও প্রার্থী মনোনয়নেও এবার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারুণ্যকে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও তরুণ ভোটার ও প্রার্থীদের কথা চিন্তা করে ভোটে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে। এ নির্বাচনে ভোটাররা ঘরে বসে নিজ ভোট কেন্দ্র মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এ ছাড়া প্রার্থীদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলেরও ব্যবস্থা করেছিলেন নির্বাচন কমিশন।

চট্টগ্রামে তরুণ ভোটারদের ব্যাপারে জানতে চাইলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী চট্রলার কন্ঠকে  বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১। এর মধ্যে এ নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬০জন তরুণ ভোটার।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, দেশের ১৮ থেকে ৩৩ বছরের ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৪। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবেন এমন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন। এ কারণে তারাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশই শিক্ষার্থী। কেউ হয়তো সদ্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে বা প্রস্তুতি নিচ্ছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে, পর্যটন নগরী কঙবাজারের সাথে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন বা রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেলের সুবিধা, দেশের অবকাঠামোর এই পাল্টে যাওয়াটা এই প্রজন্মের চোখের সামনে। আগামীর বাংলাদেশকেও আরও উন্নত দেখতে চান তারা। তবে তরুণদেরও অস্বস্তিটা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ে। তারপরও তাদের চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা একটিই সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদমুক্ত এবং দুর্নীতি মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ুক। তবে সহিংসতামুক্ত একটি ভোটের পরিবেশও চাইছেন তারা। প্রথমবার ভোটার হওয়ার যোগ্য হওয়ায় তাদের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে।

এবার চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৮ বছর বয়সী এবং ভোটারযোগ্য সব মিলিয়ে নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন। মহিলা ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২০২৩টি বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৩২ টি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক