বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে নতুন করে জটিলতা

ইমরান নাজির  | শুক্রবার , ২১ জুলাই, ২০২৩।

 আগামী একশ বছরের বন্দর হিসেবে গড়ে উঠতে যাওয়া চট্টগ্রাম বে –টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছে। প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বে–টার্মিনাল ২০১৭ সালের মাস্টার প্ল্যানে গড়ে তোলা হবে নাকি ২০২৩ সালের প্ল্যানে করা হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবারও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে।

জানা যায়, নগরীর হালিশহর সমুদ্র উপকূলে জেগে ওঠা একটি চরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট প্রাকৃতিক একটি চ্যানেল ব্যবহার করে গড়ে তোলা হচ্ছে বে– টার্মিনাল। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত মেগা প্রকল্পটি বেশ আগে গ্রহণ করা হলেও এটিতে গতি আসেনি। প্রকল্পটি জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পদে পদে নানা বাধা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। জেগে ওঠা চ্যানেলটিকে ঢেউ ও জোয়ারের স্রোত থেকে রক্ষা করতে নির্মাণ করতে হবে ব্রেক ওয়াটার। আবার চ্যানেলে বড় জাহাজ ভিড়ানোর জন্য বাড়াতে হবে গভীরতা। এ জন্য চ্যানেল খনন করতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে ভূমির। শুরুতে ৯৩৯ একর ভূমিতে টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে। ক্রমান্বয়ে এই বন্দরের এলাকা আড়াই হাজার একরে উন্নীত করা হবে। ছয় কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা ভূমির উপর বে–টার্মিনাল গড়ে তোলা হচ্ছে। এই টার্মিনাল বাস্তবায়নে দুটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মাস্টার প্ল্যান তৈরিসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ক কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড এবং ডিয়েনইয়াং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন, ইয়ার্ড নির্মাণ, জেটি নির্মাণসহ পুরো বন্দরের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। মোট ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৬ টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানটি বে–টার্মিনালের ডিজাইন, ড্রয়িং থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরদিকে জার্মানির শেলহর্ন নামের অপর একটি কোম্পানি বে–টার্মিনালের ব্রেকওয়াটার নির্মাণ এবং চ্যানেল খননের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক