দুর্নীতি দমন কমিশন কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন এমন এক আতঙ্কে রয়েছে যে, তারা যে কোনো সময় ধরা পড়বে ও শাস্তির সম্মুখীন হবে। তিনি বলেন, যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসেবেই থাকবেন। মামলার বিচার থেকে কোনো পরিত্রাণ নেই। জীবিত থাকতে অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সহযোগী যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শহীদ বীরোত্তম শাহ আলম অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টায় দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় দুই বছর পর চট্টগ্রামে ৪২ সরকারি দফতরের বিরুদ্ধে আনা শতাধিক অভিযোগ নিয়মের গণশুনানি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক জানায়, নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি দফতরে সেবা সহজীকরণ ও হয়রানি বা দুর্নীতি বন্ধে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান আরও বলেন, ‘দুদক ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এখন দুদকের আকার ও সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্নীতিকে আমলে নেওয়ার ও বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। দুদকের ৭০ শতাংশ মামলায় শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’
অনুষ্ঠানে দুদকের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল (আইসিটি ও প্রশিক্ষণ) বলেন, ‘গণশুনানিতে যদি কোনো কর্মকর্তা প্রশ্নের সুদত্তর দিতে না পারেন, তাহলে এই অভিযোগ সরাসরি দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলাও হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, মহাপরিচালক দুদক এম সোহেল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।