কাস্টম হাউসে দুদকের অভিযান

শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অভিযান চালিয়েছে দুদক, চট্টগ্রাম–১। গতকাল দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে এনফোর্সমেন্ট টিম লিডার এবং দুদক, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ৫ ও ৭ নম্বর সেকশনে অভিযানটি পরিচালনা করে।

সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কাস্টম হাউসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া যায় না এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৫ ও ৭ নম্বর সেকশনসহ বিভিন্ন কক্ষে গিয়েছি আমরা। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পেয়েছি আমরা। অসাধু কর্মকর্তাদের পছন্দসই দালাল চক্রের মাধ্যমেই এই ঘুষ লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পাদন হয়। রাসায়নিক ল্যাবের কার্যক্রমেও নানা রকম অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। দুদক কর্মকর্তা আরো বলেন, এ ঘটনায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এসব বিষয়ে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। সংগৃহীত রেকর্ডপত্রের আলোকে অতি শীঘ্রই কমিশন বরাবরে এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে দুদক,চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক নাজমু সাদাত আজাদীকে বলেন, এটি একটি চলমান বিষয়। হাতেনাতে ধরতে না পারলে আসলে কিছু করার থাকে না। তবে নিয়মিত অভিযান চালাতে পারলে ভালো হয়। সে বিষয়ে কমিশনের কাছে আমাদের একটি প্রস্তাবনা থাকবে। কমিশন যদি অনুমতি দেয় আমরা নিয়মিত ভিজিট করব।

নাজমু সাদাত বলেন, কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। সেটি খতিয়ে দেখতে অভিযান চালিয়েছেন আমাদের সহকারী উপ–পরিচালক এনামুল হক। তাঁর টিম ঘুষ লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। এখন বিষয়টি কমিশনকে জানানো হবে। তিনি আরো বলেন, অভিযানের শুরুতে ছদ্মবেশে আমাদের কর্মকর্তারা কাস্টম হাউসের সংশ্লিষ্ট কক্ষগুলোতে যান। এই ছদ্মবেশে যাওয়ার ফলেই ঘুষ লেনদেনের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন কর্মকর্তারা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক